খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেছেন, সাহিত্য সমাজের দর্পণ। আর কবি, সাহিত্যিকগণ সেই দর্পণের নির্মাতা। লেখনির মাধ্যমে তাঁরা মানব কল্যাণে নিবেদিত থাকেন। একজন সাহিত্যিক অতীত ও বর্তমান সময়ে ঘটমান সকল বিষেয়ের ওপর তীক্ষ্ণ নজর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন, যা খুব একটা সহজ নয়। মেধা ও শ্রম দিয়ে তারা জীবন ঘনিষ্ঠ রচনা সম্ভারে মানবজমিনকে সমৃদ্ধ করেন।
সিটি মেয়র আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় নগরীর জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিতির বক্তৃতা করেন। প্রতিভা সাহিত্য সংসদ দিনব্যাপী এ সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে। সিটি মেয়র কবি-সাহিত্যিকদের সমাজ ও রাষ্ট্রের আলোকিত মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভালো সাহিত্যিকদের সমৃদ্ধ ইতিহাস জানতে হবে। নতুন প্রজন্ম যতবেশী সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে ততবেশী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রয়োজন চিন্তা-চেতনায় অগ্রসরমান একটি প্রজন্ম যারা দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার পথ দেখাবে।
প্রতিভা সাহিত্য সংসদ-এর সভাপতি ও সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সেলিম’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোঃ আব্দুল মান্নান ও ভাষা সৈনিক বেগম মাজেদা আলী। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রতিভা সাহিত্য সংসদ’র প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা নিঘাত সীমা।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইতিহাসে প্রফেসর মোঃ বজলুল করিম ও মোঃ রেজওয়ানউল হক, ভাষা আন্দোলনে বেগম মাজেদা আলী, সাংবাদিকতায় অধ্যাপক গোলাম মোস্ত্মফা সিন্দাইনী, লোক-সাহিত্য গবেষণায় ড. আনোয়ারুল করিম, ছোট গল্পে এ্যাড. সৈয়দ কাদের নওয়াজ, কবিতায় কবি ওমর আলী, ছড়ায় আনসার আলীকে প্রতিভা সাহিত্য সংসদ পদক প্রদান করা হয়। সিটি মেয়র তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
সম্মেলনের ২য় পর্বের আলোচনা সভায় মোঃ রেজওয়ানউল হক’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিক্ষাবিদ ড. শেখ গাউস মিয়া ও সাংবাদিক অধ্যাপক গোলাম মোস্ত্মফা সিন্দাইনি।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ