“স্থানীয় জনগোষ্ঠির উন্নয়নে পর্যটন” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, রূপান্তর ইকো ট্যুরিজম ও বেসরকারী সংস্থা রূপান্তর’র উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল সাড়ে আটটায় নগরীর সার্কিট হাউজ প্রধান ফটক থেকে এক বর্ণাঢ্যর্ যালী বের হয়। পর্যটন সংশ্লিষ্ট শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড, ফেষ্টুন, টি-শার্ট ও ব্যানারসহ বর্ণাঢ্য র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে শেষ হয়।
র্যালীতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ ও রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ।
পাশাপাশি রূপান্তর ইকোট্যুরিজম লিঃ নিজস্ব ব্যানারে বিশ্ব পর্যটন দিবস’১৪ উদযাপনের লক্ষ্যে মূল র্যালীর সঙ্গে যুক্ত থেকে পদযাত্রা সফল করেন। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা সহ গাইডদের সারিবদ্ধ পদযাত্রা র্যালীকে আরোও আকর্ষনীয় করে তোলে।
পরে সকাল ১০টায় খুলনা অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক, অশোক কুমার বলেন, জাতিসংঘের সদস্য ভুক্ত দেশ সমূহ ১৯৮০ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করে আসছে।
বাংলাদেশও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করছে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য মতে বিশ্বে পর্যটন উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। লনি প্লান্ট’র তথ্য মতে পর্যটনে ১২ টি দেশ উন্নতি করবে তার ভিতর বাংলাদেশ একটি।
তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে পর্যটন নীতিমালা তৈরী হয় কিন্তু তা যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশে পর্যটক বাড়ছে না, অথচ বিশ্বে পর্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটি যা ২০২০ সালে ১৬০ কোটিতে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরো উন্নত করে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর পর্যটনের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।
অনুষ্ঠানের সভাপতি খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ বলেন, পর্যটন শুধু বিনদোন নয়। শিক্ষা জ্ঞান আহরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মাধ্যম। আর সুন্দরবন একটি জীবন্ত পাঠশালা ও বিশেষ করে খুলনার জন্য একটি রক্ষা কবচ। শিক্ষা সফর ও পর্যটনের ভিতর কোন পার্থক্য নেই। আর পর্যটন বিকাশের জন্য প্রয়োজন অবকাঠামো উন্নয়ন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক মনোভাব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান,খুলনা প্রেস ক্লাব’র সভাপতি মোঃ ফারুক আহম্মেদ, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, মোঃ আনিসুজ্জামান প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ