ভারতীয় দূতাবাসের বদান্যতায় ভিসা প্রার্থীরা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে একাকার

জীবনের ঝুকি নিয়ে নগরীর ব্যাস্ততম সড়কের উপর খোলা আকাশের নীচে লাইন দিয়ে দাঁড়ায় ভারতীয় ভিসার জন্য খুলনার আবেদনকারীরা। ভিসা আবেদনের কার্যক্রম পরিচালিত হয় খুলনা মহানগরীর ৬৪, কেডিএ এভিন্যিউ’র এস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকে। শত শত নারী-পুরুষ আবেদন পত্র জমাদেওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করেন। ব্যস্ত্মতম সড়কের উপর দাড়ানোর ফলে তার দুর্ঘটনার শিকারও হন। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

এক সময় ভারতীয় ভিসার আবেদনের জন্য সকল কে ঢাকায় যেতে হ’ত। খুলনায় ভারতীয় ভিসার আবেদন পত্র জমাদান কেন্দ্র খোলাকে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন এটা ভারতীয় দূতাবাসের বদান্যতা। খুলনায় এস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র একটি শাখা ভিসার আবেদন পত্র গ্রহনের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সূত্রমতে, প্রতিদিন তিন থেকে চারশ’ আবেদনকারী ভারতীয় ভিসার আবেদন পত্র জমা দেয়। আবেদন গ্রহণকারী সংস্থা এস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে আবেদনকারীদের অপেক্ষা করার কোন ব্যাবস্থা নেই, ফলে ভবনের সামনের ব্যস্ত্মতম সড়কেই তাঁরা অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়। ভিসার আবেদনের জন্য জনপ্রতি জমা দিতে হয় ৬০০ টাকা। প্রতি বছর যাদের নিকট থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৬/৭ কোটি টাকা আয় করছে তাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোন মাথাব্যাথা নেই। ভিসার আবেদনের জন্য লাইনে দাড়ানো মানুষদের সাথে কথা বলতে গেলে অনেকে প্রায় কেঁদে ফেলেন। সাটউর্ধ্ব বৃদ্ধ শ্যামাপদ গায়েন বলেন,’বাপু চিকিৎসার জন্যি ভারত যাবো, কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা এই রোদির মধ্যি রাস্তায় দাড়ায়ে আছি, পাশ দিয়ে বড় বড় গাড়ী যাতিছে, ভারতে যাওয়ার আগে এখেনেই কিছু একটা ঘটে না যায় !’ আবেদনকারীদের অভিযোগ, লাইনে দাড়ানো অবস্থায় রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টি আসলে ভিজতে হয়, শত শত নারী-পুরম্নষ এখানে অপেক্ষা করে অথচ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ারও ন্যুনতম কোন ব্যবস্থা নেই যা অত্যন্ত অমানবিক। তাদের দাবি, অন্তত এমন একটা জায়গায় আবেদনপত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক যেখানে রাস্তায় দাড়াতে না হয়, আর স্বভাবিক মানবিক ক্রিয়া-কান্ডের ন্যুনতম ব্যবস্থা থকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক এ বিষয়ে আলাপে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং উল্টো প্রশ্ন করেন এটা কি নতুন কিছু ? তার দাবি, তার প্রতিষ্ঠানের সামনেই রাস্তা, তাই কোন ব্যাবস্থা নিতে হলে নগর কর্তৃপক্ষ নিক। অদূর ভবিষ্যতে এ অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি নেতিবাচক উত্তর প্রদান করেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *