ইংল্যান্ডকে দুমড়ে-মুচড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ। অ্যাডিলেড ওভালে এ ম্যাচে টাইগারদের ২৭৫ রানের বিপরিতে ইংলিশরা ৪৮.৩ ওভার খেলে ২৬০ রানে সবাই আউট হয়ে গেলে ১৫ রানে জয়ী হয় টাইগাররা।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহামুদুল্লাহ আর মুশফিকের ৮৯ রানে ভর করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে।
এ খেলায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পাওয়া মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিক দু’জন মিলে ১৪১ রানের বড় জুটি গড়েন।
টসে হেরে ব্যাত করতে নেমে দলীয় ৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে রিয়াদ-সৌম্য জুটি। তারা ৮৬ রান সংগ্রহ করেন। আউট হওয়ার আগে সৌম্য সরকার ৫২ বলে ৫টি চার আর একটি ছয় মেরে করেন ৪০ রান।
দলীয় ৯৯ রানের মাথায় দুই রান করে সাকিব বিদায় নিলে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ ১৩৮ বলে ১০৩ রান করে রান আউট হন। তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবেও নাম লেখান। রিয়াদের ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর দুটি ছক্কা।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে ব্রডের বলে আউট হওয়ার আগে মুশফিক খেলেন ৮৯ রানের দারুন এক ইনিংস। তার ৭৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার আর একটি ছক্কা। আর সাব্বির রহমান করেন ১৪ রান।
টাইগারদের ছুড়ে দেওয়া ২৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমে ইংলিশ ওপেনাররা বেশ সহজে মোকাবেলা করে বাংলাদেশের বোলারদের। ইনিংসের অষ্টম ওভারে মাশরাফি বল তুলে দেন আরাফাত সানির হাতে। সে ওভারেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী দলীয় ৪৩ রানের মাথায়।
ইনিংসের ২০তম ওভারে দলীয় ৯৭ রানের মাথায় মাশরাফির বলে মুশফিকের হাতে বধ হন অ্যালেক্স হেলস। তিনি ৩৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে করেন ২৭ রান।
২৭তম ওভারে রুবেলের বলে মুশফিকের হাতে কট বিহাইন্ড হন ইয়ান বেল, আউট হওয়ার আগে বেল ৬৩ রান করেন। একই ওভারে রুবেল ইয়ন মরগানকে ফেরান শূন্য রানে। আর ৩০তম ওভারে তাসকিনের বলে সাজঘরে ফেরেন জেমস টেইলর।
চরম উত্তেজনাপূর্ণ এ খেলায় এক সময় ইংলিশদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১২ বলে মাত্র ১৬ রান, হাতে দুই উইকেট। খেলায় ইংলিশদের জয় প্রায় নিশ্চিৎ, আর তখনই তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে রুবেল হোসেনের জোড়া আঘাতে। রুবেলের বলে শেষ দু’জন বোল্ড হন আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই।
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ