খুলনা মহানগরীর রাস্তা-ফুটপাথ দখল করে অবৈধ-দখলবাজরা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন স্থাপনা। কেসিসি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও দখল মুক্ত করতে ব্যার্থ হয়েছে দখলকৃত রাস্তা ও ফুটপাথ! নগরবাসির প্রশ্ন কে বেশী ক্ষমতাবান কেসিসি না অবৈধ দখলদাররা ?
নগরীর কেডিএ এভিনিউ’র বেসিক ব্যাংকের উল্টোদিকের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে একজন পুরাতন লোহা ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছেন তার পুরাতন ভাঙাড়ি লোহার আড়ৎ ও কারখানা। বিভিন্ন প্রকার পুরাতন লোহার যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রোড রোলার ইত্যাদি ক্রয় করে তিনি এই রাস্তার উপর রেখেই ভেঙে স্ক্রাপ তৈরী করে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। দীর্ঘকাল যাবৎ এই রাস্তা ও ফুটপাথই তার বিনা ভাড়ার নিজস্ব ওয়ার্কসপ। এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও নগরীর ব্যাস্ততম রাস্তা দখল করে এ ভাঙাড়ির কারখানা চলছেই!
নগরীর শের-এ- বাংলা রোডের ময়লাপোতা মোড়ে ফুটপাথ দখল করে পাকা গাথুনি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হোটেল এবং এ সড়কের বিভিন্ন স্থান দখল করে ইট-বালুর রমরমা ব্যবসা চলছেই।
নগরীর সবচেয়ে ব্যাস্ততম ক্লে-রোডের ফুটপাথের উপর অবৈধ দখলদাররা গড়ে তুলেছে স্থায়ী দোকান ঘর। এ ছাড়াও নগরীর যশোর রোড, হাজি মহসিন রোড সহ বিভিন্ন সড়কের ফুটপাথ এখন অবৈধ দখলদারদের দোন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
কেসিসি কর্তৃপক্ষ গত ফেব্রুয়ারী মাসে নগরীর কিছু এলাকার ফুটপাথ ও রাস্তা অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান চালালেও কোনো দখলদারের বিরুদ্ধে জরিমানা বা অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নি, ফলে অভিযান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দখলদাররা আবার দখলে ফিরে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার একজন অফিসার বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ অবস্থায় নগরবাসির প্রশ্ন কে বেশী ক্ষমতাবান, আইনী কর্তৃপক্ষ না বে-আইনী দখলবাজরা ?
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ