প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে খুলনার উন্নয়ন ও খুলনাবাসির বিভিন্ন উন্নয়নের দাবি প্রধানমন্ত্রীর সমীপে তুলে ধরতে আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ’র উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন বঞ্চিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নকে বিশেষ বিবেচনা করেন।
তিনি বলেন, খুলনাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি পদ্মা সেতু ও খানজাহান আলী বিমান বন্দর। এ অঞ্চলের মানুষের সৌভাগ্য পদ্মা সেতু এখন আর চাওয়া নয় পাওয়ার তালিকায় অবস্থান করছে, আর গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বন্দরের জন্য ৫৪৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুমোদন দিয়েছেন এবং সম্প্রতি বলেছেন যে ২০১৮ সালে তিনি খানজাহান আলী বিমান বন্দরে নেমে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফিরতে চান।
তিনি বলেন, খুলনায় দেশের সবচেয়ে আধুনিক রেল ষ্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে যা ২০১৮ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। একই সাথে মংলার সাথে যাতে খুলনা সহ সারা দেশের রেল যোগাযোগ গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্যে খুলনা-মংলা রেল লাইন নির্মাণ হচ্ছে যার জমি অধিগ্রহণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনায় শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ চলছে, চলছে পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন সেন্টার ও জেলা স্টেডিয়াম নির্মানের কাজ, সোনাডাঙ্গায় সম্পন্ন হয়েছে মহিলা ক্রীড়া কমেপ্লেক্স নির্মাণের কাজ। এ অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হ’ল পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ যা অচিরেই সম্পন্ন হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। এ ছাড়া নগরবাসির সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে ওয়াসা’র মাধ্যমে মোল্লাহাট’র মধুমতি নদী থেকে পানি এনে ট্রিটমেন্টের সাহায্যে পরিশোধিত করে নগরবাসিকে সরবরাহ করা হবে যে কাজ চলছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনার মুজগুন্নিতে পর্যটনের নিজস্ব জমিতে একটি তিনতারা হোটের নির্মানের কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনৈতিক ভাবে সচল করতে মংলা বন্দরের উন্নয়নের উপর অধিক জোর দিয়েছেন। এই বন্দরকে ঘিরে ইপিজেড, অর্থনৈতিক জোন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, বিমান বন্দর নির্মাণ, রেলওয়ে লাইন নির্মাণ সহ নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে মাদার ড্রেজার ক্রয় করেছেন যা দিয়ে ঘষিয়াখালি চ্যানেল খননের কাজ ইতোমধ্যেই ৪২% সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন এখন আর আস্বাস নয় চলছে বাস্তব উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। তিনি এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
উল্লিখিত উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধীরগতি সম্পর্কে সাংবাদিকগণ জানতে চাইলে তিনি আমলাতান্ত্রিক অকর্মণ্যতাকে দায়ী করেন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডের গতি যাতে দ্রুত হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা সহ তদারকিতে জোর দেওয়ার কথা বলেন।
এ সময় খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সহ আওয়ামী লীগের মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ