অবশেষে দানবের ঔদ্ধত্ব মনুষ্যত্বের শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে। বিদেশীদের পা চাটা কুকুর লুটেরা ধর্ষক দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর শিরোমনী মুজাহিদ ও সাকা’র ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী’র ফাঁসির রায় ২২ নভেম্বর দিনের প্রথম প্রহরে কার্যকর করা হয়। এ সময় সারা বাংলাদেশ শয়তানের বিরুদ্ধে মানুষের বিজয় আনন্দে উল্লাশে ফেটে পড়ে। এ যেনো আর এক বিজয় দিবস!
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র বলেছে, ছয় জন জল্লাদ শাহজাহান, রাজু, আবুল, মাসুদ, ইকবাল ও মুক্তার এই ফাঁসি কার্যকর করেন। দু’জনকেই ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার পর জল্লাদ পেছন থেকে হাত বেঁধে মাথা ও মুখমণ্ডলে কালো টুপি বা জমটুপি পরিয়ে দেন। এরপর সিনিয়র জেল সুপার রুমাল হাতে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় জেল সুপারের দৃষ্টি ছিল ঘড়ির কাঁটার দিকে। আর জল্লাদের দৃষ্টি ছিল রুমালের দিকে। নির্ধারিত সময়ে জেল সুপার রুমালটি হাত থেকে ফেলে দেন। ঠিক তখনই জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভারে টান দেন। এভাবেই দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামের কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতনচন্দ্র সিংহকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী চারটি অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৯ জুলাই আপিল বিভাগ সালাউদ্দিন কাদেরের আপিল খারিজ করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখে।
এদিকে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনালের এ ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১১ আগস্ট আপিল করেন তিনি। চলতি বছরের ১৬ জুন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যার উস্কানি, পরিকল্পনা ও নৈতিক সমর্থনদানের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি রিভিউ দাখিল করেন। সর্বশেষ আইনি লড়াইয়ে গত ১৮ নভেম্বর এই দুই নেতার রিভিউ খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ