বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে খুলনার উদ্যোক্তা শ্রেণীকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ পর্যটন শিল্পের ব্যাবস্থাপনায় বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী ১৯ মে বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘খুলনা অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভানবা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ইপিজেড, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ পাঁচতারা হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে এতদাঞ্চলের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে জিডিপিতে যে প্রবৃদ্ধি ঘটবে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, আগামী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষকে পর্যটনে উৎসাহিত করতে ডোমেস্টিক ট্যুর ব্যাবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ অঞ্চলের দর্শনীয় স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের জন্য নিয়মিত প্যাকেজ ট্যুরেরও আয়োজন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ এবং বাগেরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক কামরুজ্জামান টুকু।
অন্যান্যর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ।
এর আগে সকালে মন্ত্রী খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি খুলনার মুজগুন্নীতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে চার একর ৬৭ শতাংশ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ