বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ প্রণয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরিবেশ রক্ষা করা। পলিথিন বর্জনের প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে পাটের ব্যবহার। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ নভেম্বর থেকে চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, চিনি ও সার এ ছয়টি পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ‘ পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। পাট অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের পরেই আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে নিয়ে পরিবেশ আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখার কারণেই প্রধানমন্ত্রী ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার লাভ করেন। আইনটি ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন শুরুর কার্যকাল ধরা হলেও ব্যবসায়ীদের দাবীর কারণে আগামী ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত প্রয়োগের সময়সীমা শিথিল করা হয়। তিনি আরও জানান, ৬টি পণ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের গ্যারান্টি প্রদান না করা হলে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হবে না, এলসি বাতিল করা এবং খাদ্য বিভাগের আওতাধীন ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভাল পাট উৎপাদন করে বাংলাদেশ। পাট পণ্য মানেই আমাদের নিজস্ব পণ্য। পাটের সাথে রয়েছে আমাদের পুরনো ঐতিহ্য।’ বর্তমানে পাট থেকে শুধু সুতাই নয়, টিনসহ অনেক উন্নত পণ্যও উৎপাদিত হচ্ছে। আইনটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব। সকল বাধা অতিক্রম করে এটি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বস্ত্র ও পাট সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ুন খালেদ এবং পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুয়াজ্জেম হোসাইন। অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ এবং খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল।
মতবিনিময়ন সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পাট অধিদপ্তরের অফিসার, খাদ্যবিভাগের উর্ধ্বতন অফিসার, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারক, চাতাল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন। সভায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা এ আইন বাস্তবায়নে পাটের বস্তা রপ্তানি না করা, দেশে প্রয়োজনীয় ৫৫ কোটি পাটের বস্তার যোগান নিশ্চিত করা এবং মান সম্পন্ন বস্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ