খুলনা মডেল স্কুল এণ্ড কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে কলেজ’র শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্যোগে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রভাষক এস, এম, সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার মাধ্যমিক স্তরে মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিকল্পে উন্নত ব্যবস্থাপনা, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীসহ ছয়টি বিভাগে ১১টি উচ্চ মাধ্যমিক মডেল বিদ্যালয় (বেসরকারী) স্থাপন প্রকল্প’র পরিকল্পনা গ্রহণ করে। খুলনা মডেল স্কুল এণ্ড কলেজ ওই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৬ সালে নির্মিত হয়।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় ৬৮ লাখ টাকা অগ্রিম অনুদান প্রদান করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগাদেশে সরকারী চাকুরি বিধিমালার আলোকে এই চাকুরি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর ভর্তি বাবদ ৬৫০০ টাকা এবং মাসিক বেতন ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা নেওয়া হয়, যা অধিকাংশ শিক্ষার্থির পক্ষে প্রদান করা কষ্টসাধ্য, ফলে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থিরা বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ-শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৪৭ জন, যাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি বছর ব্যয় বর্তমান স্কেলানুযায়ী ৯৯ লাখ সাত হাজার টাকা প্রায়, এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানের আয় ৭৮ লাখ, ৩০ হাজার টাকা। বাৎসরিক ঘাটতি প্রায় ২১ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির অর্গানোগ্রামানুযায়ী আরও ১০৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রয়োজন। এ অবস্থায় নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী খরচ বাড়লে ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণ ও নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মডেল কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ও খুলনা মডেল স্কুল এণ্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ