দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, রিপাবলিকের (পিপুল্স্ রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ) কর্মচারীদের ব্যক্তিগত শুদ্ধাচারের অনুশীলনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা সম্ভব। রাষ্ট্র তথা সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সাথে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে হবে।
তিনি ১৯ আগস্ট সকালে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ‘ শুদ্ধাচার কৌশল’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রত্যেক অফিসে সেবাদানকারী ও সেবা গ্রহণকারীর মধ্যে দুরুত্ব কমাতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান এবং দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে জরুরী ব্যবস্থা নিচ্ছে। সমাজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দুদক বিভিন্ন ধরণের সভা-সেমিনার করছে। বিশেষতঃ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মননে সততার বীজ রোপণ করতে ইতোমধ্যে বাইশ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘সততা সংঘ’ নামে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে দুর্নীতির সূতিকাগার হ’ল সরকারী অফিস এবং দুর্নীতির লালন-পালনকারী হ’ল সরকারী কর্মচারীগণ, আর এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির ‘শিকার’ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে কি ফল লাভ হবে তা বোঝা গেলো না। কারণ জনগণ জুলুমের শিকার হয়ে বাধ্য হয়ে ঘুষ দেয়, তারা ঘুষ নেয় না।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আত্মশুদ্ধি শুদ্ধাচারের প্রথম কৌশল। জবাবদিহিতার মাধ্যমে এবং সহজে জনগণকে সেবা দিতে তথ্য প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে।
অন্যদিকে, সেমিনারে উপস্থিত অনেকেই মনে করেন, দুর্নীতি চালু থাকা অবস্থায় কখনই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, আর দুর্নীতি উপর থেকেই বন্ধ করতে হবে যা বর্তমান প্রশাসন টিকিয়ে রেখে সম্ভব নয়। তারা মনেকরেন, একমাত্র উপযুক্ত আইন ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমেই দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র গড়তে সক্ষম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুব হাকিম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ