‘অধিকার, মর্যাদায়, নারী-পুরুষ সমানে সমান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় আজ নানা আয়োজনে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৬। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের যৌথ আয়োজনে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পটগান, সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নারীরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে তারা মেধা ও যোগ্যতায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। তৃণমূল পর্যন্ত নারীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরই নারীদের কল্যাণে কোন না কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে প্রথমত শিক্ষিত হতে হবে। বাল্যবিবাহ নারীর এগিয়ে যাবার পথে প্রধান অন্তরায়। নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণও হচ্ছে বাল্যবিয়ে। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরদার আনিসুর রহমান পপলু এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. অলোকা নন্দা দাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পারভীন জাহান। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নার্গিস ফাতেমা জামিন। এতে সরকারি অফিসার, এনজিও প্রতিনিধি, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সকাল নয়টায় শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে কালেক্টরেট চত্ত্বরে সকালে প্রতিপাদ্য ও দিবসের ওপর পটগান, দুপুরে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতা , বেলা সাড়ে তিনটায় মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাড়ে চারটায় পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ