জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

খুলনা ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা’ রক্ষা এবং ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ’ কমিটির মাসিক সভা আজ সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।  খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিন উল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় র‌্যাব এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যহত আছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে প্রতি মাসে অন্তত একটি গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

খুলনা মহানগরীতে যানযট নিরসনে ফিটনেস বিহীন পরিবহণ, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কেএমপি, সিটি কর্পোরেশন ও বিআরটি এর পক্ষ থেকে জুলাই মাসে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা মহানগরীর যানযট নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে পিকচার প্যালেস মোড় হতে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে অবৈধ হকারদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জেলা ও মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নির্মূল অভিযান বিষয়ক আলোচনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় জুলাই মাসে ২২জন আসামীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৬টি মামলা রুজু করা হয়। যার মধ্যে ৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং অপর ৩জনকে ১৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় কমিটির একজন সদস্য খুলনার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত করে যশোর জেলার ন্যায় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের প্রস্তাব করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহানগরীর ক্লাবগুলোতে ক্রীড়া চর্চা ব্যতীত মাদকের মতো অনৈতিক কার্যক্রম বিষয়ে সতর্ক থাকার  পরামর্শ দেন। তিনি ক্রীড়া চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানান।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যেখানে সেখানে গরুর হাট বসতে না দেয়া এবং কোরবানীর পর দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

 সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত জুলাই মাসে ডাকাতি ১টি, রাহাজানি ১টি, চুরি ৮টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইন ২টি,  দ্রুত বিচারে ২টি, ধর্ষণ ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৯টি, নারী ও শিশু পাচার ১টি, মাদকদ্রব্য ১৬৯টি এবং অন্যান্য ৪০টিসহ মোট ২৪৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ২২২টি।

জেলার নয়টি থানায় গত জুলাই মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৪টি, খুন ৫টি, অস্ত্রআইনে ৩টি, দ্রুত বিচার ১টি, ধর্ষণ ৫টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৪০টি, নারী ও শিশু পাচার ৪টি ও  মাদকদ্রব্য ৬৮টি এবং অন্যান্য আইনে ৯৩টিসহ মোট ২২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ২৩৭টি।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *