সরকার ১১৮টি নৌপথ খনন করবে

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বাণিজ্যকে সহজীকরণের জন্য ১১৮টি নৌপথ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি ৫ আগস্ট খুলনা শিপইয়ার্ডে পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিতব্য দুটি পাইলট বোট এবং দুটি হেভি ডিউটি স্পিড বোট’র কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরীর হাত ধরে দেশ আজ সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে চলেছে, তারই একটি প্রমাণ এই খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। বিগত দিনগুলোতে এই শিপইয়ার্ড যুদ্ধ জাহাজসহ ৭৩৬টি নতুন জাহাজ নির্মাণ করে। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদুর প্রসারী সিদ্ধান্তে এই শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হয়ে উঠে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং নৌপরিবহনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে, কারণ ৯০% আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এই সমুদ্র বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করেই হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে মোংলা- ঘোষিয়াখালী চ্যানেল খনন করা হয়েছে। তিনি জানান ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দর পূর্ণাঙ্গ বন্দরে পরিণত হবে, তখন দক্ষিণাঞ্চলের লোকজনের জীবন-মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাগেরহাট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাংগীর আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আনিছুর রহমান মোল্লা। অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান(এম) রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম সহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন ।

বিদেশী ডিজাইন ও যন্ত্রপাতিতে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে ০২টি পাইলট বোট খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলে পায়রা বন্দর ও পোতাশ্রয় সংলগ্ন এলাকায় এক নাগাড়ে দীর্ঘ সময় ধরে পাইলটিং কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। একইভাবে অপর ০২টি হেভি ডিউটি স্পিড বোট উপকূলীয় টহল, পোতাশ্রয় এলাকার নিরাপত্তা, সন্ত্রাস, মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান, আভ্যন্তরীন ও উপকুলীয় এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। ফলে পায়রা বন্দরকে বাংলাদেশের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিতব্য ০২টি পাইলট বোট ও ০২টি হেভি ডিউটি স্পিড বোট কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে, যা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরও প্রসারিত করবে।

উল্লেখ্য, পাইলট বোটের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩৬ মি. এবং প্রস্থ ৭ মি.। হেভি ডিউটি স্পিড বোটের দৈর্ঘ্য ৩৪.৯ মি. এবং প্রস্থ ৬.৯২ মি.। পাইলট বোট দুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং স্পীড বোট দুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পাইলট বোট ও স্পীড বোটের নির্মাণ কাজ আগামী ২০ মাসে সম্পন্ন হবে মর্মে খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *