রাজনৈতিক নারী নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি সম্মেলনের বক্তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থী’র সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্যাম্পেইন কর্মকান্ডে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদানের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
সেই সাথে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ২০০৯ (সংশোধিত) ধারা ৯০বি অনুযায়ী রাজনৈতিক দলে মূলধারার কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নিশ্চিত করা, নারী প্রার্থীদের জামানতের টাকার পরিমাণ হ্রাস, নির্বাচনে ব্যয়ের সীমা কমানো, নির্বাচনে সন্ত্রাস, কালোটাকা এবং পেশীশক্তির অপব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের তদারকির দাবি জানিয়েছেন।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে রাজনৈতিক নারী নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি সম্মেলনের ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ খুলনা বিভাগের জেলা সমূহের আওয়ামী লীগ’র নারী নেতৃবৃন্দসহ দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশালের সিনিয়র রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর আমেনা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা’র সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগে’র সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হালিমা ইসলাম, লুৎফুনেচ্ছা লুৎফা, সাধারন সম্পাদক- খুলনা মহানগর মহিলা লীগ । ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ও ক্যাম্পেইন ম্যানেজারের গুণাবলী বিষয়ক উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর আসমা আক্তার। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগে’র নারী নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন এবং জেলাভিত্তিক দলীয় কাজের মাধ্যমে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। উপস্থিত নারীদের বক্তব্য, মূল দলের কমিটি গুলোতে নারীর অংশগ্রহন ২-৫% এর বেশী নারীরা কমিটিতে নেই। এই হার কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রধান অতিথি তালুকদার আব্দুল খালেক- খুলনা’র সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগে’র সভাপতি তার বক্তব্য বলেন- আগামী আসন্ন নির্বাচনে যোগ্য নারীদের ক্যাম্প্যাইন ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে যারা তাদের যোগ্যতা দিযে পুরুষদের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকবে।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নারী নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে নারী প্রার্থীদের সার্বিক সহায়তা এবং প্রচারণার সময় দলের পক্ষ থেকে বিশেষ সহযোগিতা করতে হবে এবং এ জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিশেষ নির্দেশনা থাকতে হবে। নারীদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ২০০৯ (সংশোধিত) ধারা ৯০বি অনুযায়ী এই ধারা বাস্তবায়নে প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল বাধ্যতামূলক করার জন্যে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান। সেই সাথে ২০২০ সালের মধ্যে মূলধারার কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রত্যেক দলের নিজস্ব রোডম্যাপ প্রস্তুত করার দাবি জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ