খুবিতে তিনদিনব্যাপী শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

আজ ৩ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তিনদিনব্যাপী শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান উৎসব মুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে।

শিক্ষা সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি ব্যাচের শিক্ষাকোর্স। ভর্তি হয়ে ঠিক চার বছরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের কোর্স শেষ হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ বেলা ১১ টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে শিক্ষা সমাপনী উৎসবের উদ্বোধনের প্রাক্কালে বলেন এ দিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের। উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষাসমাপনী উদ্যাপনে নানাকর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তবে শিক্ষাসমাপনী উৎসব করতে যেয়ে এমন কিছু যেনো না ঘটে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরাই পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে। আমরা চাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মকান্ড খুলনাবাসী তথা বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রসংশা করুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হোক। তিনি শিক্ষাসমাপনীর মাধ্যমে তাদের জীবনের সাফল্য কামনা করেন। এ সময় ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালকবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা সমাপনকারী প্রায় হাজার শিক্ষার্থী বাস ও ট্রাকযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে শোভাযাত্রাসহ ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়, নতুন রাস্তার মোড়, বয়রা বাসস্ট্যান্ড, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, জয়বাংলা মোড় এবং জিরো পয়েন্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে তারা মেতে ওঠে রং উৎসবে। প্রথম দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিকেল ৪ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া আগামীকাল দ্বিতীয় দিন ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান এবং বিকেল ৪ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তৃতীয় দিন ৫ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠান সমাপনীর দিন বিকেল ৩ টায় মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, সন্ত্রাস, সেশনজট ও রাজনীতিমুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষাকার্যক্রম চালু হওয়ার পর দীর্ঘ এ পর্যন্ত অর্জিত সুনাম ও ভাবমূর্তি অম্লান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে চমৎকার শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। আগামী বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা-গবেষণা ও সার্বিক উন্নয়নে অভীষ্ট্য লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এটাই শিক্ষা সমাপনী দিবসে সবার প্রত্যাশা।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *