খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে প্রযুক্তি হস্তান্তরবিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আজ ১৬ জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারের গবেষণার ফলাফল ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তরের মাধ্যমে ফলদd উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, কোনো প্রযুক্তিই সফল হয় না তা যতোসময় প্রয়োগ না হয়। তাই প্রযুক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ অতিথি বলেন, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন কৃষি বিষয়ে শিক্ষা-গবেষণার পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জার্ম প্লাজম সেন্টারের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য উপযোগী ফলের জাত উদ্ভাবন ও চাষের ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের পরিচালক গত কয়েক বছর ধরে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পরে টেকনিক্যাল সেশনে পাওয়ার পয়েন্টে পেয়ারা, সফেদা, কুল, আমড়া, বাতাবী লেবুসহ কয়েক ধরনের ফল চাষের প্রযুক্তি ও চাষ পদ্ধতি তুলে ধরা হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মচারীসহ খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের অগ্রসর ২৮ জন কৃষক অংশ নেন। এসময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও মাষ্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি উপকূলীয় অঞ্চলে ফল উৎপাদনের কলাকৌশল শিরনামে প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান রচিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ জার্ম প্লাজম ল্যাব ও সেন্টার পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর অর্থায়নে ইভালুয়েশন অব ফ্রুট জার্মপ্লাজম এ্যাভেইলেবল ইন দি সাউথ-ওয়স্টার্ন রিজিয়ন অব বাংলাদেশ অন দি বেসিস অব দেয়ার ফিজিকো কেমিক্যাল ক্যারেক্টারিসটিকস এন্ড জেনেটিক ভেরিয়েবিলিটি বাই র‌্যানডম এ্যামপ্লিফাইড পরিমারফিক ডিএনএ(আএপিডি) এ্যানালাইসিসি শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০১০ সালে জার্ম প্লাজম সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই সেন্টারে উপকূলীয় চাষ উপযোগী বিভিন্ন শ্রেণির ফল নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আম, পেয়ারা, কুল, বাতাবীলেবু ও সফেদার জাত উন্নয়নে অনেক দূর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই সেন্টারে এখন ৬১ প্রজাতির উন্নতমানের ফল গাছ রয়েছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *