খুলনাবাসীর ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ের নির্বাচনে- মঞ্জু

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০দলীয় জোট সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, “কোন ভয়-ভীতিতেই বিএনপি এ নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবে না। এই নির্বাচনের থেকে আন্দোলন ও নির্বাচন বিএনপি এবং ২০দল সফল করবে।

আজ এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, ‘আমাদের পোলিং এজেন্ট, ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী কাজ করছিলেন এবং জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করছিলেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। ভীতি ছড়ানো হয়েছে। যাতে বিএনপি কর্মীরা আর মাঠে না থাকে। যাতে ভোটাররা ভয় পায়, ভোট কেন্দ্রে যেতে। কিন্তু আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই- হাজারো গ্রেফতার হলেও বিএনপি কর্মীরা মাঠ ছেড়ে যাবে না ইনশাআল্লাহ্।’ দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের পরেই প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েন তিনি। এরআগে, সকাল সোয়া ৮টায় বাসভবনে তাৎক্ষনিক প্রেসব্রিফিং করেছিলেন মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

ধানেরশীষ’র প্রার্থী মঞ্জু বলেন, আগামী ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসছেন খুলনায়। রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি- সিইসি যেনো এইসব সংকট নিষ্পত্তি করে খুলনায় আসেন। না হলে সিইসি বৈঠক বয়কট ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা থাকবে না। এই নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষা না হয় তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এটা শুধু দেশের জনগন নয় গোটা বিশ্ব সেদিকেই তাকিয়ে আছে। সে জন্য আগামী নির্বাচনের দিকে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা হোক সেটা খুলনাবাসী দেখতে চায়।

নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা থেকে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। সমস্ত বাহিনী থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব দেখে হতবাক হয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছে যে কমিটি শুধু মাত্র সরকারের বিজয় নিশ্চিত করার জন্যই কাজ করছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আমরা এতো আপত্তি দিয়েছি, নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছি, যার একটিরও শুনানী হয়নি এবং কোন ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত নেয়া হয়নি। আমরা বলেছিলাম অনুগত পুলিশদের খুলনাতে সরিয়ে দিয়ে সেনা মোতায়েনের জন্য।

প্রেসব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, খুলরনার জনগনের প্রত্যাশাপূরণের রাজনীতিকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। গত আটদিনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি  নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি কেন্দ্রীয় ও ২০দলের নেতৃবৃন্দ প্রচারে অংশ নিয়েছেন। প্রচার কাজ যখন করেছি, তখন মানুষের ইশারায় ইঙ্গিত পেয়েছি একটা ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে এ নির্বাচনে। খুলনার জনগন উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন করতে চায়। জনগন বহুদিন পরে ধানের শীষে ভোট দেবার আকাঙ্খা থেকেই এই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা বিএনপি’র শহর, খুলনা ধানেরশীষ’র শহর। গত পঁয়ত্রিশ বছরে বিএনপি সৃষ্টির ইতিহাসে খুলনায় কখনো অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হয় নাই।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান, নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান বাবু নিতাই রায় চৌধুরী, এম মশিউর রহমান, আমিরুল ইসলাম আলিম, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, ইকবাল হোসেন, এনপিপি’র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিজেপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঃ মতিন সাঈদ, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, ডিএল’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ’র মহাসচিব এম সেলিম মোস্তফা ভূঁইয়া, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জমিয়াতুল উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র মহাসচিব মুফতি মুহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিঙ্কন, জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপি’র ভারপ্রাপ্ত  মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, খুলনার ২০দল নেতাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা এমরান হুসাইন, এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, মাওলানা নাসির উদ্দিন, সিরাজ উদ্দীন সেন্টু, এ্যাড. আকতার জাহান রুকু, এ্যাড. শাহ আলম, গোলাম রসুল, বিএনপি নেতা সৈয়দ নার্গিস আলী, মুজিবর রহমান, গাজী আলাউদ্দীন, আমীর এজাজ  খান, মীর কায়সেদ আলী, ডাঃ গাজী আব্দুল হক, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ মোশাররফ হোসেন, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম মেঝভাই, কওসার জমাদ্দার, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মোঃ ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুল হাসান বাপ্পী, আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, আশারফুল আলম নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু ও হেলাল প্রমূখ।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *