খুলনায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন

বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ খুলনায় উদ্যাপিত হয়।

এ উপলক্ষে নগরীতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‍্যালি, শিশু সমাবেশ, বক্তৃতা, কবিতা পাঠ, রচনা, হাতের লেখা, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া-মাহফিলসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ সৃষ্টি হত না। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, তারা রাজাকার ও রাজাকারদের উত্ততসুরি পাকিস্তানের দোসর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালীদের যে দেশ দিয়ে গেছেন তা আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা। আজকের শিশু কিশোর আগামীতে বাংলাদেশের কান্ডারী। বর্তমান প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ তার সামগ্রীক উন্নয়নের অংশীদার। যোগ্য নাগরিক হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ মাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর  রহমান, অতিরিক্ত  বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন,পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবীর, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবীর, শিশু অতিথি মোঃ মাহাথি ইসলাম এবং ফাইরাজ মালিহা। । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। পরে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ।

এর আগে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি শিববাড়ি হতে শুরু হয়ে  হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়। পরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। র‍্যালিতে তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ এবং বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মচারি, বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরে দুঃস্থ ও ভবঘুরে শিশুদের আপ্যায়ন, বাদ জোহর সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও আদর্শ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে আলোচনা, জাতির পিতার জীবনাদর্শের উপর তথ্যভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ বেতার খুলনা দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালাও প্রচার করে। সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *