সারা দেশের ন্যায় খুলনায় আজ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ (২৩-২৯ এপ্রিল) নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন।’
২০২৫ সালের মধ্যে নানা ধরণের অপুষ্টি হ্রাস করতে “জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫” এবং জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনাতে (২০১৬-২০২৫) কয়েকটি সূচক ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশু জন্মের প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে ময়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা, ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়িয়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের খর্বাকৃতির হার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা। এছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির হার কমিয়ে এক শতাংশের নিচে আনা অন্যতম লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুষ্টি সপ্তাহ পালন উপলক্ষে আজ সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, সুস্থ্য জীবন যাপন করতে সব বয়সী মানুষের মধ্যে খাদ্যের পুষ্টির জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই, তবে খাদ্যজ্ঞানের অভাব রয়েছে। তিনি বাইরের ফাস্ট ফুড ও জাংক ফুডের পরিবর্তে বাসায় তৈরি খাবার গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এজন্য মায়েদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রওশন আনোয়ার এবং সাবেক সিভিল সার্জন ডা. হামে জামাল। স্বাগত বক্তৃতা করেন সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাক। শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনা করেন সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শরাফাত হোসেন।
এর আগে সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে শেষ হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ