দীর্ঘদিন বাঁচতে হলে মৃত্যুর কারণগুলো জানতে হবে। উন্নত দেশগুলো মৃত্যুসনদপত্রের আন্তর্জাতিক একটি মান অনুসরণ করলেও বাংলাদেশে তা এখনো অনুপস্থিত। এরফলে দেশে কোন রোগে কতজন মনুষের মৃত্যু হচ্ছে তার হিসাব যেমন মেলানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় তেমনি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনাও করা যায় না। এই সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিকমানের মৃত্যুসনদপত্রের প্রচলন হতে যাচ্ছে।
এরই লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী ‘মৃত্যুসনদপত্রের আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) এন এম জিয়াউল আলম আজ সকালে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
উদ্বোধনকালে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য লড়াই করছি। আর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় বাঁধা প্রকৃত তথ্য না থাকা। আমরা প্রচুর কাজ করছি কিন্তু তার তথ্য সংরক্ষণ করতে পারছি না। এই ঘাটতি পূরণে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। জন্ম, মৃত্যু, বাল্যবিবাহ, মাইগ্রেশনের মতো ডাটাগুলো আমাদের খুবই প্রয়োজন।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুমেক এর অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমএসআই) ডা. আশিষ কুমার সাহা, খুমেক এর উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ এবং খুলনা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এটিএম মনজুর মোরশেদ।
দুপুরে এন এম জিয়াউল আলম ফুলতলা উপজেলা পরিষদে অনুরূপ একটি কর্মশালা ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন এবং ভারবাল অটোপসি’ উদ্ব্দ্ধুকরণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ