যথাযোগ্য মর্যাদায় খানজাহান আলী’র ৫৫৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

অপরাজিত সেনাপতি, ন্যায়পরায়ন শাসক এবং আধ্যাত্মিক সাধক দক্ষিণ বঙ্গের শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ  খানজাহান আলী’র ৫৫৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রথম রাজধানী ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে।

খানজাহান আলী শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমি, খুলনা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের কর্মসূচির ভিতর ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ‘দক্ষিণ বঙ্গে শিক্ষা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় খানজাহানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

আজ সকাল দশটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মেদ জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার এস.এম. রইজ উদ্দিন আহম্মদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার উপ-পরিচালক ইসরাত জাহান, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড খুলনার উপ-পরিচালক মুঃ বিল্লাল হোসেন খান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর খুলনার উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম ও শেখ হেলাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ বাগেরহাট’র প্রভাষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্রীড়া ভাষ্যকর ড. সাঈদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খানজাহান আলী শিক্ষা ও গবেষণা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জামাল উদ্দীন, পায়গ্রাম কস্বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম. মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট লেখক সরদার আব্দুল আজীজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হোসেন আশু, এ্যাড. কাজী তারিক হাসান মিন্টু, খানজাহান আলী জামে মসজিদের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম, নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রবিউল হাসান, বিশিষ্ট সাহিত্য সংগঠক খান আক্তার হোসেন, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার প্রমুখ। বক্তাগণ দক্ষিণ বঙ্গে সুশাসন ও  জন কল্যাণে খানজাহানের অনন্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, কোলকাতা, মুর্শিদাবাদ ও ঢাকারও আগে পায়গ্রাম কসবাকে রাজধানী করে এ অঞ্চলকে সভ্যতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার যে নজির স্থাপন করেছেন সে জন্য বিগত ছয়শ বছর ধরে দেশবাসী তাঁকে দক্ষিণ বঙ্গের শ্রেষ্ঠ মহাপুরষের আসনে সমাসীন রেখেছেন।  বক্তাগণ প্রতিবছর পায়গ্রামে খানজাহানের ওপর সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন ও এ গ্রামের অতীত ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী তুলেছেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *