আজ ৬ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে পালিত হচ্ছে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০১৯।
এ উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে খুলনার রূপসা উপজেলা কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রূপসা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ জোবায়ের।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মচারী তাহিরা খাতুন, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক জয়ন্ত নাথ চক্রবর্তী, এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্পনা রানী কুন্ড। এতে সভাপতিত্ব করেন রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারী ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম গাজী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকার শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কৃমি মূলত পরজীবী। কৃমি শিশুদের মেধার বিকাশে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে। এর প্রতিরোধ করতে হলে খাবারের আগে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করা, খাবার ঢেকে রাখা, স্যান্ডেল পায়ে বাথরুমে যাওয়া এবং পায়খানার পরে ভালভাবে সাবান বা ছাইদিয়ে হাত পরিষ্কার করা। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই।
ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার (এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে) কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, কিন্ডার গার্ডেন, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫ থেকে ১২ এবং ১২ থেকে ১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত, ঝরেপড়া, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের বিনামূল্যে কৃমি নাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে।
এবারে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভাসহ দুই হাজার একশ ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৯৪ হাজার ২২ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে । খুলনা মহানগরীতে পাঁচশ ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৪৯ হাজার সাতশ ৭০জন শিশুকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’র সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ