ঘুর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে খুলনা জেলায় সাড়ে ৬ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত

খুলনা জেলায় ঘুণিঝড় ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে নিরুপন ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ৬ মে  সোমবার সন্ধ্যায় সার্কিট হাউজে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, খুলনা জেলার কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও রূপসা উপজেলার মোট ২১টি ইউনিয়নে ফণীর প্রভাব পড়ে।

ঝড়ে আনুমানিক দূর্গত মানুষের সংখ্যা ৪০ হাজার, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা আনুমানিক ১২ হাজার ৮১০টি। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ীর সংখ্যা আনুমানিক ছয় হাজার ৫৬৭টি। ঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট ২ লাখ ৫২ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং ঝড় পরবর্তী সবাই তাদের বসত বাড়িতে ফিরে যায়। খুলনায় ঘুর্ণিঝড় ফণীতে কোন মানুষ মৃত্যু বা নিখোঁজ হয় নি। তবে দাকোপ উপজেলার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে একজন গর্ভবতী মা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন এবং সেই কন্যা সন্তানের নাম ফণী বেগম রাখা হয়।  ফণী বেগমের বাবা-মায়ের স্থায়ী কোন বসত বাড়ি না থাকায় সেই পরিবারকে পাকা ঘর করে দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাহায্য ও পুনর্বাসনের জন্য এ পর্যন্ত মোট ১০ লাখ টাকা, ৩শ মেট্রিক টন চাল, এক হাজার বান্ডেল ঢেউ টিন, শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা দুর্যোগ কবলিত মানুষের মধ্যে বিতরণ চলমান আছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *