আগামী ১৯ জানুয়ারি পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড)। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা সামছুর রহমানস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
খুলনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ সৈয়দ আহসান রিজবী প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ স্বপন কুমার হালদার। কর্মশালায় সরকারি কর্মচারী, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিগণ অংশগ্রহণ করেন।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন, সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং এ সাথে প্রচার করা হবে স্বাস্থ্যবার্তাসমূহ। এছাড়া স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি রেল স্টেশন, বাসটার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাপসুল খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। এতে সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোন সংবাদ পরিবেশন না করা এবং জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন।
এবছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার তিনশ ৬০ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৩৪ হাজার চারশত ৫৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রের সংখ্যা পাঁচশত ৮০টি, মোবালই টিম ৮০টি, এনজিও পরিচালিত কেন্দ্র ৫০টি, ভলেন্টিয়ার (ওয়ার্ড ভিত্তিক) এক হাজার একশত ৬০জন, মোট ভলেন্টিয়ার এক হাজার চারশত ২০ জন এবং সুপারভাইজার ৬২ জন। খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ৬৮টি, ওয়ার্ড সংখ্যা দুইশত চারটি, মোট টিকাদান কেন্দ্র এক হাজার ছয়শত ৫৭টি, ভলেন্টিয়ার তিন হাজার তিনশত ১৪জন এবং মেডিকেল টিমের সংখ্যা একশত ১৬টি।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ