সাংবাদিক ফখরে আলমের মৃত্যু

সাংবাদিক ফখরে আলম মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ ১৪ মে, বৃহস্পতিবার সকালে ৬১ বছর বয়সে যশোরে মারা যান তিনি। দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

আজ যশোরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গিয়েছেন ফখরে আলম। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

১৯৬১ সালের ২১ জুন জন্মগ্রহণ করেন ফখরে আলম। তার পিতা শামসুল হুদা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।

১৯৮৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করার পর একে একে দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকা, মানবজমিন, জনকন্ঠ, আমাদের সময় ও যায়যায়দিন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন ফখরে আলম। সর্বশেষ কালের কণ্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

আজ আসরের নামাজের পর যশোর জিলা স্কুল মাঠে জানাজা শেষে চাঁচড়ার পারিবারিক গোরস্থানে ফখরে আলমের দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বজলুর রহমান স্মৃতি পদক’, ‘মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার’, ‘এফপিএবি পুরস্কার’, ‘মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার’, ‘এফইজেবি পুরস্কার’, ‘টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার’সহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।

‘রিপোর্টারের ডায়েরি’, ‘হাতের মুঠোয় সাংবাদিকতা’, ‘ডাকে প্রেম তুষার চুম্বন’, ‘তুই কনেরে পাতাসী’, ‘খুলে ফেলি নক্ষত্রের ছিপি’, ‘এ আমায় কনে নিয়ে আলি’, ‘অন্ধকার চুর্ণ করি’সহ ৩৪টি গ্রন্থ ও কবিতার বইয়ের রচয়িতাও ফখরে আলম।

 

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *