দেশব্যাপী আলোচিত খুলনার কথিত রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেফতার চারজন জামিন পেয়েছেন।
আজমঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা বেগম শুনানি শেষে ২২ দিন পর তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, নূর আলম জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম পলাশ। তবে, এ মামলার অপর দুই আসামি হেলাল শরীফ ও রহিমা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার ওরফে বেল্লাল ঘটক বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মহেশ্বরপাশার দোতলা বাসা থেকে পানি আনতে নিচে কলপাড়ে নামেন রহিমা বেগম। এরপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। পরে তার সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত জুতা, ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে নগরীর দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তার ছোট মেয়ে আদুরি আক্তার। এ মামলা তদন্তকালে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করে। সেই মামলা থেকে জামিন পেলেন চারজন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানায় উদ্ধার হওয়া এক নারীর মৃতদেহের সালোয়ার দেখে তার মায়ের লাশ বলে সনাক্ত করে। তবে, পুলিশ ডিএনএ টেস্ট না করে সেটি কার লাশ তা নিশ্চিতভাবে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। এর পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে বোয়ালমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দৌলতপুর থানা পুলিশ রহিমা বেগমকে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে। গ্রেফতার সময় রহিমা বেগম ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন বলে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানায়।
উল্লেখ্য, রহিমা বেগমের নিখোঁজের পর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান মানববন্ধনসহ ফেসবুকে মাকে উদ্ধারের ব্যাপারে বিভিন্ন কমেন্ট করেন। এতে ফেসবুকসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় কথিত ‘রহিমা বেগমের অপহরণ’ নিয়ে।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ