খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অন্তু রায় (২১) আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্তু খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তবে তার পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল। পাশাপাশি কুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলেও তার অনেক টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছিল। গত রবিবার অন্তু তার পরিবারের কাছে টাকা চায়। এসময় তার মা তাকে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর সোমবার সকালে তার বাবা দেবব্রত রায় ও তার মা মাঠে যায় কাজ করতে। তার ছোট বোন বেলা ১১টার দিকে প্রাইভেট পড়া থেকে এসে ঘরের মধ্যে অন্তুর লাশ ঝুলতে দেখে।
একই বিভাগের ছাত্র ও কুয়েট থিয়েটারের সভাপতি হাসিব আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অন্তুর পরিবারের আর্থিক সমস্যা ছিলো। রশিদ হলে তার প্রায় ১৮ হাজার টাকার ডাইনিং বিল বকেয়া পড়েছিলো। এই নিয়ে অন্তু মনে অনেক কষ্ট পেত। ডিপার্টমেন্টের সবাই তাকে বুঝিয়েছে। সবাই মিলে তার টাকাও ম্যানেজ করে ফেলেছিলো।’
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসা ইন চার্জ (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, সকালে ছোট বোন অন্তুর লাশ দেখতে পায়। মাটির ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এলাকায় সে ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ