আগামী ৭-১২ জানুয়ারি জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার ২ হাজার ৩০৩ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩০২জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
দেশব্যাপী জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ পালন উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী।
সভায় জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।
সভায় জেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিক্যাল অফিসার মো. সাবেতুল ইসলাম, ডা. ফাহরিন ফাতমি জাহান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারগণ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের অফিসারসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ সভার আয়োজন করে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ