সংবাদ সম্মেলনে দাবি- খুলনায় রহিমা বেগমের রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় মেয়ে মরিয়ম মান্নানই মাস্টার মাইন্ড

খুলনার আলোচিত গৃহবধূ রহিমা বেগমের রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানকে মূল পরিকল্পনাকারী (মাস্টার মাইন্ড) বলে দাবি করেছেন মামলায় গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা।

তারা বলেন,এই ঘটনায় মরিয়ম মান্ননসহ অন্যান্য যারা জাড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আসমিদের দ্রুত কারাগার থেকে মুক্তির দাবি জানান তারা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ও মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি এ দাবি জানান।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছে। কয়েক বছর আগে শরিফুল ইসলাম নামে মাত্র ৮/৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়েছিল। মরিয়মের বাবার তিনটি বিয়ে, ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। এখন সেই জমিই কাল হয়েছে।

মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রশাধনী সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তিনি জন্ম নিবন্ধন পরিবর্তনের জন্য ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন। যা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশ ও আদালতে দেওয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)  প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল ঘটক, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়—এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আক্তার বাদী হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন— খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, তার বড় ভাই মহিউদ্দিন, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল ঘটক, পলাশ, নূর আলম জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *