খুলনায় চাকরি প্রত্যাশীদের পোর্টাল জবঘরের উদ্বোধন

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আজকে আমরা ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি। এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি এবং তাঁর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রচেষ্টায় আমরা ডিজিটাল যুগে পৌঁছেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা ছিল। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এর পেছনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অশেষ অবদান রয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে এখন সকল তথ্য পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর  সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে সবাই। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য নতুন সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও জব পোর্টাল জবঘরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র এসকল কথা বলেন। আজ শনিবার দুপুরে খুলনার একটি হোটেলে জমকালো আয়োজন ও কেক কাটার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে চাকরির বিজ্ঞপ্তির ওয়েবসাইটটির।

এসময় সিটি মেয়র জবঘরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে  ছেলে-মেয়েরা  মাত্র পাঁচ সেকেন্ডেই চাকরির আবেদনের সুযোগ পাবে। আশা করা যায় এই জবঘর এগিয়ে যাবে এবং শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে যাবে ।

জবঘরের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পলাশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: সাবিরুল আলম ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মোটিভেশনাল স্পিকার সোলায়মান সুখন।

এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গণিত বিজ্ঞানী  প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক জোয়ার্দার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জবঘরের চেয়ারম্যান শিমুল রায়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জবঘরের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশী সকল ছাত্র ছাত্রীরা মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে সরকারী ও বেসরকারী চাকরীতে আবেদন করার সুযোগ পাবে। এটি চাকুরি প্রত্যাশীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে ঘরে বসেই চাকরিতে আবেদন করা যাবে । এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও প্রাইভেট জবের ক্ষেত্রেও মেধা যাচাইয়ের সুবর্ণ সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে খুলনার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *