দাকোপ ও বটিয়াঘাটাকে তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণার দাবীতে স্মারকলিপি

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণার দাবীসহ তরমুজ চাষ ও বাজারজাতকরণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবীতে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন লোকজ নেতৃতে মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন ও দাকোপ অঞ্চলের কৃষকরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এম,পি সংরক্ষিত আসন, দাকোপ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌরমেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকজ’র নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মিলন কান্তি মন্ডল, হিমাদ্রী রায়, দাকোপ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ও আজম খাঁন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের কার্যকরি সদস্য সঞ্জীব রায়, মো: শাহদাত গাজী,  উত্তম মন্ডল, প্রসেন রায়, রিতা রপ্তান, রমেশ হালদার প্রমুখ।

স্বারকলিপির দাবীসমূহ অত্যন্ত বাস্তব ও যৌক্তিক বিবেচনা পূর্বক এম পি  উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে দাপ্তরিকভাবে ফরোওয়াডিং এর মাধ্যমে  কৃষি মন্ত্রী ও কৃষি সচিব বরাবর পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এসময় বক্তারা তরমুজ চাষ, পরিবহন ও বিপননের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা তুলে ধরে খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলাকে তরমুজ চাষের জন্য কৃষি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করা, কীটনাশক কম লাগে এমন উচ্চফলনশীল ইনব্রিড বীজ উদ্ভাবন করে বাজারে বীজের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, নদী-খাল লিজ/অবুমক্ত ও খনন করে চাষের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা, প্রকৃত তজমুজ চাষীদের তালিকা করে প্রশিক্ষণ প্রদান, অভিজ্ঞ কৃষক ও কৃষিবিদদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে তরমুজ চাষের গাইড লাইন তৈরি, প্রকৃত চাষীদের বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা, সকল ধরণের বীজের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে এবং ন্যায্যমূল্যে যাতে সার ও কীটনাশক বিক্রি হয় তার ব্যবস্থা করা।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *