সরকার দেশের সকল শিশুকে শতভাগ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন শিশু যেন টিকা থেকে বাদ না পড়ে। শিশুদের টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসার দায়িত্ব অভিভাবকদের। এজন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এ পর্যন্ত দেশের ৮৪ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালীন এই কর্মসূচি কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিলো। সঠিক সময়ে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের রোগমুক্ত রাখা যায়। সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় শিশুমুত্যু ও মাতৃমুত্যু হার হ্রাস পেয়েছে, টিকাদানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল গ্রহণের হারও বেড়েছে।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০২৩ পালন উপলক্ষে বিভাগীয় অ্যাডভোকেসি সভায় অতিথিরা একথা বলেন। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেসি সভায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, শহিদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ আবু শাহীন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৈয়দা রুকসানা পারভীন, কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার স্বপন কুমার হালদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান।
উল্লেখ্য, সারাদেশে টিকাদান কার্মসূচির আওতায় ছয়টি সংক্রামক রোগের পাশাপাশি হেপাটাইটিস-বি, অটো ডিজেবল (এডি), হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জ-বি ভ্যাকসিন, হাম ও রুবেলা, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, ইনএ্যাকটিভিটেড পোলিও ভ্যাকসিন, আইপিভি থেকে ফ্রাকশনাল আইপিভি এবং টিটি থেকে টিডি ভ্যাকসিনের সুইচ পরিচালনা করে আসছে।অ্যাডভোকেসি সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অফিসার, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসার ও শিক্ষকরা অংশ নেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ