বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতিতেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কৃষিক্ষেত্রের অন্যতম সাফল্য : উপাচার্য

আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিদ দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে  উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সামনে দিয়ে হাদী চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খানসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে সেখানে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেছিলেন। তাঁর এই দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের কৃষিবিদরা এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ছাপিয়ে বহির্বিশে তাদের অবদানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়লেও এই সময়টাতে বাংলাদেশে কোনো খাদ্যের সংকট হয়নি। বরং কৃষির এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। যা আমাদের দেশের কৃষক এবং কৃষিবিদদের অবদানেই সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় যখন বাংলাদেশের ৭ কোটি জনগণ ছিলো, তখন দেশে খাদ্যের সংকটও ছিলো। অথচ আজ ১৮ কোটি জনগণের এই দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় কৃষক এবং কৃষিবিদদের অবদানে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে কৃষিজ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, কৃষির উপর গবেষণার কারণে বাংলাদেশ আজ কৃষিতে সফলতা পেয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনও গবেষণায় অনেক এগিয়ে। কৃষির উপর গবেষণায় যে ঝোঁক রয়েছে তা বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন দেখলেই বোঝা যায়। তিনি এই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের তাঁদের অগ্রজদের পথ অনুসরণ করে নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন  ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবেশ দাস। এসময় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *