বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, সেই স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুজীবনগর অস্থায়ী রকার ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সেই দিবস যারা পালন করে না সেই দিনকে যারা স্বীকার করে না এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা স্বীকার করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ৭২ থেকে ৭৫ বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশকে গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু সেদিন ধ্বংসস্তুপের উপর দাড় করানো একটি দেশকে অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাড় করিয়েছিলেন। যারা সেদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য যারা পাটের গুদামে আগুন দিয়েছে, আওয়ামী লীগের এমপিকে হত্যা করেছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে, থানা লুট করেছে, বাসন্তিকে ১০ টাকার কাপড় খুলে ৩০০ টাকার জাল পরিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো সেই শক্তি, সেই যুদ্ধাপরাধি, পরাজিত মুসলিম লীগার, ত্রিশ লক্ষ শহীদের হত্যাকারী, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের নিয়ে গঠিত বিএনপি জামাত এবং তথাকথিত বিপ্লবীরা আজকে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মিথ্যাচার করছে কারণ বঙ্গবন্ধু তনয়া তার সততা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী নেতৃত্ব, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারনেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া থেকে খালেদা জিয়া যারা বাংলাদেশটাকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলো শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ ও মর্যাদাশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও সেই ষড়যন্ত্রকারীরা আবার একই সুরে কথা বলছেন কারণ শেখ হাসিনা আজকে শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নয় বিশ্বনেতা হয়েছেন তার কর্মের মধ্যদিয়ে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন এদেরর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবসে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এড এ কে এম শাহজাহান কচি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ আবিদ উল্লাহ, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, হাসান ইফতেখার চালু, মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ শিহাব উদ্দিন, মোঃ সেলিম মুন্সি সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ