খালের মুখ অবৈধ দখলে বন্ধ থাকার ফলে টানা বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।খানজাহান আলী হলসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হলের বিভিন্ন কক্ষে যান এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে সৃষ্ট তাদের নানা সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি হলের দায়িত্বরত কর্মচারীদের দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ময়ূর নদীর পানি উপচে পড়ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং হলের কক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। এই দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টি কমে গেলে ময়ূর নদীর পানি কমলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি নদীতে নেমে যাবে। তখন সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তবে আপাতত হলের কক্ষ থেকে পানি বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় খানজাহান আলী হলের সহকারী রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক মুহিব্বুল্লাহসহ হলের আবাসনরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের খাল থেকে ময়ূর নদীতে পানি যাওয়ার সংযোগ অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সংযোগ অংশ দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা ও দোকানের মালিকদের সাথে কথা বলেন এবং পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ