List/Grid

Archive: Page 290

মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে

২০১৩-১৪ সালের চেয়ে গত দুই বছরে (২০১৫ ও ১৬ সাল) তিন লাখ ৩৬ হাজার বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি বৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দুই বছর পূর্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।

সাঁওতালদের ঘরে আগুন দিয়েছে পুলিশ: তদন্ত প্রতিবেদন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে উচ্ছেদের সময় সাঁওতালদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কিছু সদস্য জড়িত ছিলেন বলে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম।
প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনার জন্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি এবং ওই ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দায়ী। এই আগুন লাগানোর ঘটনার সাথে দুইজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত। তবে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কারও নাম এই তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি। গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। মোতাহার হোসেন সাজু পরে সাংবদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারীসহ মামলার সব পক্ষ এই প্রতিবেদনের কপি এখনও পায়নি। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হলেও শুনানি হয়নি। আদালত ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাইকে কপি পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের পেপার বুক শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আদেশের জন্য আসবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাজু জানান, ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ১০০১ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র জমা দিয়েছেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম। সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর জন্য বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ সদস্যদের দায়ী করা হলেও হেলমেটের কারণে তাদের শনাক্ত করা যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, একনজরে প্রতিবেদনের মতামত অংশে আমরা যেটি দেখেছি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগুন লাগানোর ঘটনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং দু’জন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে প্রতিবেদনে তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কারণ, তারা হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ভিডিওটি অনেক দূর থেকে ধারণ করা। এ কারণে তদন্ত কমিটি এটি ডিটেক্ট (নাম শনাক্ত) করতে পারেননি। এমনকি ওইদিন যারা ডিউটি করেছেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদেও নাম শনাক্ত করতে পারেননি। আগুন দেওয়ার ঘটনার দিন কারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই দিন যারা কর্মরত ছিলেন, তাদের তালিকা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে কমিটির পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছিলো। ওই ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি যেহেতু এর মধ্যে কাজ করছেন, ওই তালিকা সেখানে সরবরাহের কারণে এখানে তা করতে পারেননি এসপি।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দায়ী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রদর্শিত ভিডিওক্লিপ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, কিছু পুলিশ সদস্য এবং দু’জন সিভিল পোশাকধারী ব্যক্তি সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আরো কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, যারা আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেননি। তবে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেননি।
সাঁওতালদের ঘরে পুলিশের আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এই তদন্তের আদেশ দেয়।
উচ্ছেদ অভিযানে ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত এবং সেখানে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি না- তা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে। ওই আদেশের পর গত ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ সাঁওতাল অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া গ্রামে যান এবং সব কিছু ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল ও বাঙালি পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। আগুনে পোড়া ঘরের কিছু আলামতও তারা সংগ্রহ করেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ময়নুল হাসান ইউসুফ।
মুখ্য বিচারিক হাকিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেদিন দুইজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য যখন আগুন দিচ্ছিলেন, আরও কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন যারা আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ না করলেও তা নেভানোর চেষ্টা করেননি। যারা আগুন দিচ্ছিলেন তাদের মাথায় হেলমেট থাকায় এবং অনেক দূর থেকে ঘটনাটি ভিডিও করায় ওই পুলিশ সদস্যদের চেহারা শনাক্ত করা যায়নি। এই কমিটি গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কাছে সেদিন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের নামের তালিকা চাইলেও ওই সময় আরেকটি কমিটির তদন্ত চলায় সেই তালিকা পাওয়া যায়নি বলে মোতাহার হোসেন সাজু জানান।
১৯৬২ সালে রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাঁওতাল ও বাঙালিদের ১৮টি গ্রামের ১ হাজার ৮৪০ দশমিক ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার গড়ে তুলেছিল। ওই জমি ইজারা দিয়ে ধান ও তামাক চাষ করে অধিগ্রহণের চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তার দখল ফিরে পেতে আন্দোলনে নামে সাঁওতালরা। পরে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মে বিরোধপূর্ণ চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে কয়েকশ’ ঘর তুলে বসবাস শুরু করে তারা। গত ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় নিহত হন তিন সাঁওতাল, আহত হন অনেকে।
সংর্ঘষের পর গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই কল্যাণ চক্রবর্তী ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাড়ে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় চার সাঁওতালকে গ্রেফতার করার পর তারা জামিনে মুক্তি পান। অন্যদিকে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুট ও উচ্ছেদের ঘটনায় মুয়ালীপাড়া গ্রামের সমেস মরমুর ছেলে স্বপন মুরমু গত ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন; তার মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দশদিন পর গত ২৬ নভেম্বর সাঁওতালদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত টমাস হেমব্রম বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ ছাড়া হাই কোর্টে দুটি রিট আবেদন হয়। ঘটনার প্রায় এক মাস পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা একটি ভিডিওর ভিত্তিতে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সাঁওতাল পল্লীর ভেতরে পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুড়ছেন। কয়েকজন পুলিশ সদস্য একটি ঘরে লাথি মারছেন এবং পরে এক পুলিশ সদস্য ওই ঘরে আগুন জ¦ালিয়ে দেন। পুলিশের সঙ্গে সাধারণ পোশাকে থাকা আরেকজন আগুন অন্য ঘরে ছড়িয়ে দিতেও সহায়তা করেন। ভিডিওর একটি অংশে আরও কয়েকটি ঘরে আগুন দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট, একজনের পোশাকের পিঠে ডিবি, আরেকজনের পুলিশ লেখা ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে এক রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনে হাই বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত দুই সাঁওতালের অভিযোগ এজাহার হিসেবে নিয়ে পিবিআইয়ের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারিক হাকিমের সঙ্গে একই দিনে পিবিআই ওই তদন্ত শুরু করে। গত ১২ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সাঁওতালদের যেভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে তা আইনি প্রক্রিয়ায় হয়নি।

ট্রাম্প বিরোধিতায় বরখাস্ত অ্যাটর্নি জেনারেল

অভিবাসন কমাতে জারি করা নিষেধাজ্ঞার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

খুলনা বেতারে নতুন আরও একটি সংবাদ বুলেটিন

বাংলাদেশ বেতার, খুলনাতে বর্তমানে নিয়মিত পাঁচটি স্থানীয় বুলেটিনের পাশাপাশি আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টায় আরও একটি স্থানীয় নতুন বাংলা সংবাদ বুলেটিন প্রচারিত হবে।

যৌতুকের জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচনার সাজা যাবজ্জীবন

যৌতুক দাবির অপরাধের দন্ড বাড়িয়ে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ১৯৮০ সালের ‘যৌতুক নিরোধ আইন’ সংশোধনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ট্রাম্পের অভিবাসিদের ফেরত আদেশ আটকালো আদালত

বৈধ ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আওতায় কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর যে প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে, আদালতের আদেশে তা আটকে গেছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) করা এক আবেদনে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ফেডারেল আদালত শনিবার এই স্থগিতাদেশ দেয়।