খুলনা মহানগরীতে নম্বর প্লেট বিহীন মটরসাইকেল টিকে থাকার রহস্য কি

গত বুধবার রাতে খুলনা মহানগরীতে প্রধানমন্ত্রীর চাচা’র বাড়িতে যে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে, অভিযোগ আছে তাদের বাহনও ছিলো ‘নম্বর প্লেট বিহীন’ মটরসাইকেল।খুলনা মহানগরীতে সন্ত্রাসী, মাদকব্যবসায়ী, অবৈধ অস্ত্রব্যবসায়ী ও ভাড়াটে খুনিদের প্রধান বাহনও নম্বর প্লেট বিহীন মটরসাইকেল। বিগত বছরগুলিতে নগরীতে যতোগুলি হত্যাকান্ড ঘটেছে তার প্রায় সবগুলিতেই খুনিদের বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে নম্বর প্লেট বিহীন মটরসাইকেল। নগরবাসির অভিযোগ, নগরীতে এত পুলিশ, এত র‌্যাব তবুও ‘নম্বর প্লেট বিহীন’ মটরসাইকেল চলছেই! এর টিকে থাকার রহস্য কি?

নম্বর প্লেট বিহীন অর্থাৎ রেজিষ্ট্রেশন বিহীন যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বে-অইনী ও দন্ডনীয় অপরাধ। অথচ খুলনা মহানগরীতে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন যানবাহন বিশেষ করে মটরসাইকেলের ছড়াছড়ি, যা প্রতিনিয়তই অবৈধ কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গত এক দশক যাবৎ এ বিষয়ে বহুবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার পরও অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় নি। এ নিয়ে বহুবার পুলিশের বিভিন্ন স্তরের অফিসারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেছেন তাদের ক্ষমতার কিছু সিমাবদ্ধতা আছে, তবে অতিদ্রুতই এদের আটক করা হবে। কিন্তু দশক পেরিয়ে গেলেও সেই ‘ অতিদ্রুতই আটক করা’ এখনও হয়ে ওঠে নি, অথচ নগরীর প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সহ বিভিন্ন মোড়েই পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত থাকে, যারা প্রতিদিন নম্বর প্লেট বিহীন মটরসাইকেল আটক করলে এক মাসের মধ্যেই নগরীর সকল নম্বর প্লেট বিহীন মটরসাইকেল নির্মূল হয়ে যেতো।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী, মাদকব্যবসায়ী, অবৈধ অস্ত্রব্যবসায়ী ও ভাড়াটে খুনিদের সাথে পেশাগত কারণেই পুলিশের যোগাযোগ ঘটে, যা পরবর্তীতে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মীর সাথে সখ্যতায় পরিণত হয়। আর এদের ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর টিকে থাকে সব অবৈধ নম্বর প্লেট বিহীন অর্থাৎ রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সন্ত্রাসী, মাদকব্যবসায়ী, অবৈধ অস্ত্রব্যবসায়ী ও ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহৃত মটরসাইকেল।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *