দেশের বন ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মীদের ঢিলেঢালা গা-জোয়ারী ভাব, আইন প্রয়োগের শিথিলতা বা আইন হীনতা এবং সাধারণ মানুষের মূর্খ উন্মাদনায় প্রায়ই বলি হচ্ছে দেশের অমূল্য সব প্রাণী সম্পদ। আর এ সকল অপরাধের কোনো বিচার না হওয়ায় এ ধরনের অপরাধ ঘটেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও’র বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফতেপুর গ্রামের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে অত্যন্ত নিরীহ প্রজাতির পিঁপিলিকাভুক একটি বনরুই।
খবরে প্রকাশ, ফতেপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মোসলেমা জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে প্রাণীটি তাদের রান্না ঘরে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা আতঙ্কে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রাণীটি ধরে ফেলেন। পরে তারা বনরুইটিকে পিটিয়ে হত্যা করেন! শুক্রবার সকালে ওই প্রাণীটিকে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, এটি বনরুই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি সংরক্ষণের মূল দায়িত্ব বনবিভাগের।
প্রশ্ন হচ্ছে একজন প্রাণীসম্পদ অফিসার ‘বনরুই’ চেনেন না আবার তিনি প্রাণীসম্পদ অফিসার! আর এদের উপর আমরা আমাদের প্রাণীসম্পদ রক্ষার দায়ীত্ব দিয়েছি এবং এদের বেতন দিয়ে পোষা হচ্ছে। আরও পরিতাপের বিষয় এ সকল মহান অফিসারগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও অপরাধিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বনবিভাগের উপর রক্ষনাবেক্ষনের দায় চাপিয়েই খালাস হয়েছেন!
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ