গতকাল ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে খুলনা মহানগরীর বাবুখান রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, রূপসা স্ট্র্যান্ড রোড, টুটপাড়া মেইন রোড, লবনচরা ও রূপসা ব্রিজ এলাকার ৯ টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় এই অভিযান পরিচালনা করে।
মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং ওজনে কম দেওয়ায় বাবুখান রোডের আসাদ স্টোরের গরুর মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় সাউথ সেন্ট্রাল রোডের আরবি ষ্টোরকে ২ হাজার টাকা, খুচরা মূল্য লেখা না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, নোংরা পরিবেশে পণ্য উৎপাদন, পঁচা- বাসি খাবার ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় একই রোডের সাতক্ষীরা সুমন ঘোষ ডেয়ারীকে ৫ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায় এবং কোম্পানীর মনোগ্রাম না থাকায় সাউথ সেন্ট্রাল রোডের এশিয়ান ফুডকে ১০ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় রূপসা স্ট্র্যান্ড রোডের তাজমহল বেকারীকে ৫ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় একই রোডের বাংলাদেশ বেকারীকে ৩ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করায় টুটপাড়া মেইন রোডের গোবিন্দ চানাচুরকে ১০ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, খুচরা মূল্য লেখা না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় লবনচরা এলাকার মেঘনা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, খুচরা মূল্য লেখা না থাকায় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় একই এলাকার রায়হান স্টোরকে ৪ হাজার টাকাসহ মোট ৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮,৪৩,৪৬ ও ৫১ ধারায় মোট ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল আলম।অন্যান্যের মধ্যেউপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান ও শিকদার শাহীনুর আলম, কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সদস্য রীতা দাস ও মনোজ দাস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ