কর ন্যায্যতা বিষয়ক ‘ক্যাম্পেইনারদের জন্য অবহিতকরণ কর্মশালা’ গতকাল সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে বেসরকারী সংস্থা পরিবর্তন-খুলনা’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতিই ন্যায্য কর ব্যবস্থাপনার প্রধান অন্তরায় বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে কর কী ও কেন, করের প্রকারভেদ, কর প্রদানে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনীহা ও প্রবনতা, ন্যায্য কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও কর প্রদানে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে করনীয় ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাম্পেইনারদের ধরনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কর ন্যায্যতা সম্পর্কে বলেন, সঠিক নিয়মে যদি কর আদায় করা হয় তবে বর্তমান আদায়ের চেয়ে দুইশ’ গুন বেশী কর আদায় করা সম্ভব। প্রথমত, সিলিং বাস্তবধর্মী না হওয়ায় সাধারণ মানুষ কর এড়িয়ে চলে। যদি আয় ও ব্যয়’র সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিলিং করা হয় তবে অধিকহারে মানুষ কর দেবে। তবে কর বিভাগের ঘুষ-দুর্নীতির কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে কর নির্ধারণ ও আদায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে অনেক বক্তা অভিমত ব্যক্ত করেন, তাদের বক্তব্য ঘুষ-দুর্নীতি টিকিয়ে রাখতে কর বিভাগই সুষ্ঠু কর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চায় না।
উধাহরনস্বরূপ একজন বক্তা বলেন, জাতিয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সাবেক চেয়ারম্যান সরকারী কর্মীরা ব্যাংকে ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগের মাধ্যমে যে আয় করে থাকেন তার একটি তালিকা প্রোণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সচিব সহ উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে একজোট হন এবং তাকে তার পদ থেকে বিতাড়নের ব্যবস্থা করা হয়। অর্থাৎ সরকারী ব্যবস্থাপনাই ন্যায্য কর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার প্রধান অন্তরায়!
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কর আইনজীবি সমিতির সভাপতি মোঃ গোলাম রসুল গাজী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্র খুলনা জেলা কমিটির সম্পাদক এম.নাজমুল আজম ডেভিড। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন অসীম কুমার পাল, এ্যাড. অশোক কুমার সাহা, সাংবাদিক শামীম আশরাফ শেলী, কৌশিক দে বাপ্পি, উন্নয়নকর্মী আজিজুর রহমান ছবি, শেখ ইমরান ইমন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, ডাঃ এস কে সাহা, কানিজ ফাতেমা, অমিত কুমার সাহা, সালতানা পারভীন, মিসেস মমতাজ বেগম প্রমুখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ