সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এ উন্নয়ন রুখে দেয়ার জন্য কিছু ব্যক্তি রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করছে, সম্পদ ধ্বংস করছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করছে, তিনি এ অপরাজনীতি বন্ধের আহবান জানান।
মন্ত্রী ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর জেলার কেশবপুরের সাগড়দাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ১৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমাত আরা সাদেক।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ইসমাত আরা সাদেক বলেন, মধুসূদনের সাহিত্যিক জীবন অতিমাত্রায় বিস্ময়কর এবং প্রচলিত চিন্তা-চেতনা থেকে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি পূর্ববর্তী কবিতার ভাব, ভাষা, ছন্দ থেকে সম্পূর্ণ পৃথকভাবে কাব্য রচনা করেন। মানবপ্রীতি ও মানবমহিমাকে তিনি বাংলাকাব্যের বিষয়বস্ত্ত করেছিলেন। স্বাধীনচেতা কবি পরাধীন বাঙালীর জাগরণের চেষ্টায় সনাতন বিশ্বাসের ঘৃণ্য রাক্ষস রাবণ ও মেঘনাদ চরিত্রের মাধ্যমে গভীর দেশপ্রেম ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক ও আলোকিত জাতি গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামীলীগ সরকারই আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি এখানে মধুপল্লী স্থাপনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। এতে অন্যান্যর মধ্যে যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, যশোরের পুলিশ সুপার, কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মধুমেলা উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মেলায় বিভিন্ন পন্য সম্ভারের প্রায় ১২ শত স্টল অংশ নিচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে দেশবরেন্য ব্যক্তিদের অংগ্রহণে আলোচনা সভা, মধুমঞ্চে সাংস্কৃতিক ও নাট্যানুষ্ঠান।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ