বটিয়াঘাটায় কৃষক ফেডারেশন’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কৃষক দলগুলোর নেতৃত্বে সচেতনতা ও প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্থায়ীত্বশীল দেশীয় কৃষি ব্যবস্থাকে সম্প্রসারণ করে খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে বটিয়াঘাটায় লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মিজরিও- জার্মানী এবং লোকজের সহযোগিতায় আজ বটিয়াঘাটা কাতিয়ানাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গনে বটিয়াঘাটার চারটি ইউনিয়নের ৩০টি এবং দাকোপ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৭টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন-এর ২য় সম্মেলন ও কমিটি গঠিত হয়।

বয়ারভাঙ্গা ভাইবোন কৃষক সংগঠনের সভাপতি ও ফেডারেশনের সহসভাপতি আশালতা ঢালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক ফেডারেশন’র সম্মেলনে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন লোকজ’র নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার, লোকজ’র সমন্বয়কারী পলাশ দাশ, মিলন কান্তি মন্ডল, দিপংকর কবিরাজ।

এসময় প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেতালবুনিয়া রংধনু কৃষক সংগঠনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বৃত্তিশলুয়া কৃষক সংগঠনের সভাপতি বিভাষ মন্ডল, বুনারাবাদ লাল সবুজ কৃষক সংগঠনের সভাপতি ঠাকুর দাস রায়, বয়ারভাঙ্গা ভাইবোন কৃষক সংগঠনের ক্যাশিয়ার কাকন মল্লিক, নেয়াইলতলা কৃষক সংগঠনের সভাপতি আলমগীর হোসেন লাভলু, আন্ধারিয়া বনফুল কৃষক সংগঠনের সভাপতি অরুণ বিশ্বাস, পশ্চিম হালিয়া সবুজবাংলা কৃষক সংগঠনের সভাপতি নির্মল কান্তি বিশ্বাস, গঙ্গারামপুর সবুজ কৃষক সংগঠনের ক্যাশিয়ার বন্দনা রায়, দাকোপ পূর্ব সাহেবের আবাদ কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রসেন রায়, গরিয়ারডাংগা দোয়েল কৃষক সংগঠনের সভাপতি অমিরা সরকার, মধ্য দাকোপ স্বর্ণলতা কৃষক সংগঠনের সভাপতি রিতা রপ্তান, দাকোপ টেংরারচক কৃষক সংগঠনের হরিপদ চক্রবর্তী, দক্ষিণ দাকোপ সূর্যোরহাসি কৃষক সংগঠনের শ্রীপদ রায়, উত্তর শ্রীনগর কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্পা বিশ্বাস প্রমুখ।

সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে রবীন্দ্রনাথ মন্ডলকে সভাপতি, বিভাষ মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক, আরুনি সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তাপস মল্লিককে কোষাধ্যক্ষ করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের কমিটি গঠিত হয়।

লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন নিরাপদ স্থানীয় কৃষির সম্প্রসারণ ও বিকাশ ঘটানো, বীজ বিনিময় ও স্থানীয় জাতের সম্প্রসারণ, কৃষিতে বহুজাতিক কোম্পানীর আধিপাত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কৃষকদের সজাগ করা, কৃষিভর্তুকি নিশ্চিতকরণ ও শস্যবীমা চালু, যুগোপযোগী নতুন স্লুইচ গেট স্থাপন এবং উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচু ও আধুনিকায়ন, ভরাটকৃত নদী-খাল খনন এবং ইজারা বন্ধ ক’রে সকল মৌসুমে ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ, কৃষকদের ফসলের লাভজনক মূল্য নির্ধারণ, ক্রেতা বা ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করা ও সরকারি চাকরিতে কৃষক সন্তানের ৫০% কোটা সংরক্ষণসহ বিভিন্ন দাবীতে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করা, সরকারি সুযোগ সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট হওয়া, কৃষি ও সেচ কাজে পানি ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় কৃষকের নিয়ন্ত্রনে আনা এবং লবণ পানি প্রতিরোধাসহ বীজ, সার ও কীটনাশক প্রতারণার বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ আদায়ে একযোগে কাজ করবে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *