খুলনায় পেশাগত অধিকার ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে সরব হচ্ছেন চিকিৎসকরা

১০ জুন  বিভাগীয় সমাবেশের ডাক

কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, পেশাগত অধিকার ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে সরব হচ্ছেন খুলনার চিকিৎসকরা। এই দাবিতে আগামী শুক্রবার  খুলনায় বিভাগীয় চিকিৎসক সমাবেশ ডেকেছেন চিকিৎসক নেতারা।

তারা বলেছেন, দেশ স্বাধীনের অর্ধশত বছর পার হলেও পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। ফলে শুধু চিকিৎসক নয়, পেশাভিত্তিক মানুষ আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এতে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), কৃষি, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা দীর্ঘদিন কৃত্যপেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, আন্ত;ক্যাডার বৈষম্য রোধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এসব পেশার কর্মস্থল দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। সরকারি অনেক ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ অবস্থায় খুলনা বিভাগের চিকিৎসকরা আগামী ১০ জুন সমস্যা ও সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। বিএমএ খুলনা বিভাগের নেতারা কর্মসূচির উদ্যোক্তা হলেও ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ আশপাশের জেলার চিকিৎসক নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। নগরীর শিববাড়ি টাইগার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএমএ কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে বিএমএ জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করার কথা রয়েছে। এতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহ¯্রাধিক চিকিৎসক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘চিকিৎসকদের পেশাগত মর্যাদা, নিরাপত্তার দাবি দীর্ঘদিনের। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের কর্মস্থলে কাজ করতে হয়। কিন্তু তারপরও তারা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একই অবস্থা কৃষি, প্রকৌশলসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে। কৃত্যপেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এই দাবি, করো বিরুদ্ধে নয়। আমাদের অধিকার। সকল পেশার মানুষের কর্মস্থল নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। না হলে সাধারণ মানুষ তাদের কাংক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। আমরা এ ব্যবস্থার অবসান চাই।’

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *