খুলনায় ৩৫ দিনের শিশু কন্যা মারিয়ামকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মা রিতা বেগম (২৮)।
আজ রবিবার খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ৩ এর বিচারক নাজমুল কবির তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ঘাতক মা রিতা বেগমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিতা বেগম বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর অতিরিক্ত কান্নাকাটি ও পায়খানা করত। এতে বিরক্ত হয় শিশুটির মা রিতা বেগম। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। সকলের অজান্তে মারিয়মকে ঘর থেকে বের করে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে রিতা বেগম ঘুমিয়ে পড়ে।
রাত ১ টার দিকে শিশুটির দাদা ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এরপর তিনি ছেলে সাইফুলকে ঘুম থেকে উঠান। জিজ্ঞাসা করেন ঘরের দরজা খোলা কেন। এমন প্রশ্নের উত্তর তখন তিনি দিতে পারেননি। এছাড়া তখন তিনি জানতেন না যে তার শিশু কন্যাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ওই বাড়িতে শুরু হয় হৈচৈ। সকলে খুঁজতে থাকেন শিশু মারিয়মকে। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। সারাদিন এ হত্যাকান্ডের বিষয়টি উন্মোচিত করার জন্য চলে নাটকীয়তা। পরবর্তীতে ঘাতক মা রীতা বেগমকে সন্দেহ করা হয়। একসময় তিনি হত্যাকান্দের বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার করেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশ আটক করে। রাতে সাইফুল বাদী হয়ে রীতা বেগমকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত ওফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ জালাল বলেন, “গত শুক্রবার ভোর সোয়া ৬ টার দিকে মারিয়মের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ঘাতক মা রীতা বেগম প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আজ রবিবার তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে স্বীকারোক্তির কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর জানাতে পারব আদালতে তিনি জবানবন্দিতে কী বলেছেন।”
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ