খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামি কাল: চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামি কাল। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ১০টি কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত মাসে চূড়ান্ত করা হয়  ৯টি কন্দ্র। তবে এ মাসে আরো একটি কেন্দ্র বাড়িয়ে ১০টি কেন্দ্র করা হয়। ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন। এই নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এস এম মোর্তজা রশীদের দারা  এবং বিএমএ, খুলনার সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম। তিনজন প্রার্থীই শাসক দল আওয়ামী লীগের অনুসারী হওয়ার কারণে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে ৬টি বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এসব বাহিনী উপকূল এলাকা, নৌপথ, সড়ক পথে টহলে রয়েছে। জেলা সদরে এক প্লাটুন ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ভোট কেন্দ্রগুলো হচ্ছে খুলনা জিলা স্কুল, রূপসা উপজেলা ভূমি অফিস, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, বটিয়াঘাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ডুমুরিয়া শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তন, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে এগারোটি জেলার মধ্যে খুলনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- মোহাম্মাদ আল-আমীন (খুলনা নগর ও রূপসা উপজেলা), মোহাম্মাদ কামাল হোসেন (বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও দাকোপ উপজেলা), এ. এম আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ (পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা) ও মাছমুদুর রহমান (ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলা)।

এদিকে, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন অফিসারের নেতৃত্বে মোট তিনজন স্বশস্ত্র পুলিশ, তিনজন অস্ত্রধারী আনসার ও লাঠিধারী একজন করে পুরুষ ও একজন করে মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ সংক্ষিপ্ত বিচার আদালত গঠন করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রগুলোতে ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।

খুলনা  জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *