সরকার শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে -সিটি মেয়র

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সরকার তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে কেসিসি পরিচালিত স্বাস্থ্যভবন সম্মেলনকক্ষে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ-২০২০ পর্যন্ত হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আয়োজিত এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সিটি মেয়র বলেন, শিশুরা ভাল থাকলে দেশ ও জাতি ভাল থাকবে। কারণ শিশুরা আগামী দিনে সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। সবাই নিজের দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সহজ হবে। তিনি আসন্ন হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনে কোন শিশু যেন বাদ না যায় সে দিকে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখার আহবান জানান।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী অফিসার পলাশ কান্তি বালা, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা ও নৌবাহিনী হাসপাতালের পরিচালক কমান্ডার মোঃ জাহিদুর রহমান। স্বাগত জানান কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ। সভা পরিচালনা করেন কেসিসির স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ স্বপন কুমার হালদার। হাম-রুবেল বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি সৈয়দ ডাঃ আহসান রিজভী।

এবছর নগরীর চারশত ৯৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ ৮৫ হাজার দুইশত শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে। এ রোগের প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচানোর জন্য নয় মাস থেকে ১০ বছরের নিচের সকল শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত (প্রথম সপ্তাহে) যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে সে সকল প্রতিষ্ঠানে এমআর (হাম-রুবেলা) টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত (২য় ও তয়) সপ্তাহে যে সকল শিশু স্কুলে যায় না বা স্কুলে টিকা গ্রহণ করে নাই তাদেরকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রে নগরীর কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী এক ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা যদি কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে স্কুলে টিকা নিতে না পারে তবে নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র হতে এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা নেওয়া যাবে।

এ্যাডভোকেসি সভায় সরকারি বেসরকারি দপ্তরের অফিসার ও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অংশ নেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *