নিরালা আবাসিক এলাকার অধিকাংশ পাকা ড্রেনই কাঁচা হয়ে গেছে, সংস্কার নেই দীর্ঘ দুই যুগ

খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ড্রেনেজ ব্যাবস্থা প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। দীর্ঘকাল সংস্কার না করায় ৯০ শতাংশ ড্রেনই কাঁচা ড্রেনে পরিণত হয়েছে। আন্তঃসংযোগ হারিয়ে কোন কোন ড্রেন হয়েছে মিনি খাল! পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই অধিকাংশ রাস্তায় একহাটু জল জমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। এ অবস্থার জন্য কেসিসি’র অপরিকল্পিত রাস্তা সংস্কারই দায়ি, অভিযোগ এলাকাবাসির। এ অবস্থায় এলাকাবাসি দিশাহারা হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শক।

সূত্রমতে, গত শতকের ৮০’র দশকে নির্মিত হওয়ার পর নিরালা আবাসিক এলাকার অধিকাংশ ড্রেন আর কখনও সংস্কার করা হয় নি, ফলে ড্রেনগুলি ভেঙে প্রায় মাটির সাথে মিশে গেছে এবং অধিকাংশ ড্রেনই কাঁচা ড্রেনে পরিণত হয়েছে।

এদিকে নিরালা আবাসিক এলাকার ‘কথিত’ জলাবদ্ধতা দূরিকরণের অজুহাতে কেসিসি কর্তৃপক্ষ সংস্কারের কাজে হাত দেয়। তবে রহস্যজনক কারণে ড্রেন সংস্কারের কোন কাজ না করে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়ে কগুণ বেশী ব্যয়ে (অর্থাৎ যে রাস্তা পাঁচ লাখ টাকায় সংস্কার সম্ভব সেটা করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকায়, এ কারণে রাস্তায় প্রচুর খোয়া দিয়ে অস্বাভাবিক উচু করা হয়েছে) ৭/৮ টি রাস্তা পূর্বের চেয়ে একবারে ২০ থেকে ২২ ইঞ্চি উচু করে সংস্কার করে। এর ফলে অন্যান্য সকল রাস্তা উল্লিখিত রাস্তাগুলির চেয়ে নিচু হয়ে পড়ায় আরও ব্যাপক হারে পানি আটকে যাচ্ছে, যে পানি নিরালার ভাঙাচোরা কাঁচা ড্রেনগুলি দিয়ে নিস্কাশিত হতে না পেরে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে।দীর্ঘকাল পরিস্কার এবং সংস্কার না করায় অনেক ড্রেনেই কচুড়িপানা জন্মে মাছের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে যা সেচে এলাকার শিশুরা নিয়মিত মাছও শিকার করছে।

এদিকে দীর্ঘকাল পানি জমে থাকার কারণে বেশকিছু রাস্তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আরও অবকাঠামো ধ্বংসের সম্মুখিন হবে।

ভুক্তভোগী নিরালাবাসির অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যমূলক  ভুল সংস্কার কাজ অর্থাৎ ড্রেন সংস্কার না করে (ড্রেন সংস্কার ব্যয় অনেক কম) ইচ্ছামত রাস্তা উচু করার ফলে এখন ড্রেনের নোংরা পানিতে তাদের রাস্তা ও বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে। তাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষকে ড্রেন সংস্কার করে এ দুরাবস্থা থেকে নিরালাবাসিকে মুক্তি দিতে হবে।

এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, নিরালার পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত, তবে এ মূহুর্তে কেসিসি কর্তৃক নিরালার ড্রেন সংস্কারের কোন কাজ করা সম্ভব হবে না।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *