সরকারি ও বেসরকারি স্কুলসমূহে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির নামে শিশুদের উপর চলে মনস্তাতিক নির্যাতন।এতে করে শিশুর স্বাস্থ্যহানী ঘটছে। ভুগছে নানাবিধ রোগে। এ থেকে শিশুদের মুক্ত করতে হবে।
শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে সুযোগ দিতে হবে। কোন মতে শিশুরা যেন পড়াশুনাকে বোঝা না মনে করে। ভর্তি কোচিং’র নামে চলছে কোচিং বাণিজ্য। অর্থ ও মানসিক চাপে অভিভাবক এবং শিশুরা। এ যেন রেসকোর্স ময়দানের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা, সন্তানকে চান্স পেতেই হবে। শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার, এই অধিকার বাস্তবায়িত করতে হবে সরকারকেই। শিক্ষার নামে শিশুর উপর মানষিক নির্যাতন বন্ধ করার জন্য নিতে হবে নানামূখী সিদ্ধান্ত। জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলা হয়।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনউদ্যোগ, খুলনার আহবানে ‘তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার নামে শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, যে শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা সেই শ্রেণীর উপযোগী প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। সব শিশুরাই সমান মেধার অধিকারী। উপযুক্ত পরিবেশ এবং সহযোগিতার অভাবে শিশুদের মেধা বিকাশের তারতম্য ঘটে। তাই বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অথচ সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে অসংঙ্গতিপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ডোনেশন ও বিভিন্ন নামে ফি নিয়ে তা শিক্ষা উন্নয়নে ব্যয় করা কতটুকু যথার্থ তা বিবেচনা করতে হবে।
স্মারলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.আ ফ ম মহসিন, ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মফিদুল ইসলাম, নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম, খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সেফ’র সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ আব্দুল হালিম, আইনুল হক, মো: আরিফুর রহমান, দীপক কুমার দে, জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্যসচিব সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন প্রমুখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ