ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনায় দমকা বাতাসের সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রবিবার ২৩ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের ১৯ টি জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙ্গের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে রবিবার দুপুর থেকেই আকাশ মেঘলাসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত ১২টার পর থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তিনি জানান, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টিপাত আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে খুলনা জেলার ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ জনের জন্য ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপ উপজেলায় ১১৮টি, কয়রা উপজেলায় ১১৭টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৭ টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ২৫ টি, পাইকগাছা উপজেলায় ৩২ টি, তেরখাদা উপজেলায় ২২ টি, রূপসা উপজেলায় ৩৯ টি, ফুলতলা উপজেলায় ১৩ টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ১৬টি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জরুরি শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে যারা আসবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কাজ চলছে।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিশেষ কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের যাতে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়-সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, সাতক্ষীরার, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় ৬৫ জন মৃত্যুবরণ করে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ